হেফাজত কাণ্ড নিয়ে দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: হেফাজত কাণ্ড নিয়ে দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি শুধু এইটুক বলব দেশবাসী যেন একটু ধৈর্য্য ধরেন। আমাদের সাবইকে ধৈর্য্য ধরেই এগোতে হবে। আর এই সমস্ত ধর্মের নাম নিয়ে অধর্ম কাজ করে এটা জনগণ কখনই মেনে নেবে না, জনগণ কখনই সহ্য করবে না। আর এভাবে পবিত্র ধর্মকে কেউ অসন্মান করুক সেটাও আমরা চাই না। আমরা চাই এ দেশ এগিয়ে যাবে। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে, সেটাই করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কিছু লোকের জন্য ইসলাম ধর্মের বদনাম হবে এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরণের অপকর্মে যারা জড়িত আইনানুগ ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। যারা মুখে ধর্মের কথা বলে, ইসলামের নাম বলে চলবেন আর অধর্মীয় কাজ করবেন এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।’

রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।

হেফাজত কাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ কি শুধু এগুলো বসে বসে সহ্য করবে? তারা তো সহ্য করবে না। এখানে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ কেন ধৈর্য্য দেখিয়েছে? আমরা ধৈর্য্য দেখিয়েছি এগুলো বিরত করার চেষ্টা করেছি, কারণ সংঘাতে সংঘাত বাড়ে, আমরা তা চাইনি। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভালোভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি। যারা এটা করছে, দেশবাসী এটার বিচার করবে দেশবাসী দেখবে এবং এদের চরিত্রটা কি? গতকালকে দেখেছেন এরা একদিকে ইসলামের নামে, ধর্মের নামে, পবিত্রতার নামে এতো কিছু বলে আবার গিয়ে একটা অপবিত্র কাজ করে আসে, ধরা পড়ে সোনারগাঁও’র রিসোর্টে। একটা রিসোর্টে ধরা পড়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি ধরা পড়লেন এবং সেটা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা। পার্লারে কাজ করে এক মহিলা তাকে বৌ হিসাবে পরিচয় দেন, আবার নিজের বৌ এর কাছে বলে যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলে ফেলেছি।

তিনি বলেন, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে এরকম অসত্য কথা বলতে পারে? তারা তো বলতে পারে না। এরা কি ধর্ম পালন করে? মানুষকে কি ধর্ম শেখাবে? হেফাজতের যারা সদস্য তাদেরকেও অনুরোধ করব- একটু বুঝে নিন কেমন নেতৃত্ব আপনাদের। আগুন লাগিয়ে জ্বালাও পোড়ায় করে বিনোদন করতে গেলেন একটা রিসোর্টে তাও একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে। এটাই তো বাস্তবতা। অর্থাৎ এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে তারা ছোট করে দিচ্ছেন। কিছু লোকের জন্য এই ধর্মে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নাম জুড়ে যাচ্ছে। আর এখন তো যে চরিত্র দেখালো দুশ্চিরত্রের নামও জুড়ে দিচ্ছে।

সংসদ নেতা বলেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। যে ইসলাম ধর্ম সব থেকে সহনশীলতার কথা শিখিয়েছে শান্তির কথা বলেছে, সাধারণ মানুষের কথা বলেছে, মানুষের উন্নয়নের কথা বলেছে সেই পবিত্র ধর্মকে এরা কলুষিত করে দিচ্ছে। এরা ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করেছে। এদের এতো অর্থ কোথা থেকে আসে এই বিনোদনের সেটাও একটা প্রশ্ন। কাজেই এটা দেশবাসী বিচার করবে, আর আইন তার আপন গতিতে চলবে।

তিনি বলেন, একজন মুসলমানের আর একজন মুসলমানের জান মাল হেফাজত করা, রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। আর হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে। আর বিএনপি জামায়াত হচ্ছে তাদের মদদদাতা। এই লজ্জা শুধু বাংলাদেশের জনগণের না, এই লজ্জা বিশ্বব্যাপী, সমস্ত পৃথিবীতে মুসলমানদের জন্য। পবিত্র ধর্মটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফলে বহু মানুষের জীবন গেছে। এই কারণে ২৬ মার্চ অনেক মানুষের জীবন গেছে এর জন্য দায়ী তো তারা। কাজেই আমি শুধু এইটুক বলব দেশবাসী যেন একটু ধৈর্য্য ধরেন। আমার কাছে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধরেই এগোতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title