তরুন বেগী: সিনিয়রদের অবহেলা ও ব্যক্তি স্বার্থের কারণে ভুল পথে হাটছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গনমাধ্যম কর্মীরা। ফলে কমছে গনমাধ্যমের সম্মান ও বাড়ছে অপরাধী, অপসাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য।
একজন প্রকৃত গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে তার চাওয়া হওয়া উচিত এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে থাকবে মত প্রকাশে স্বাধীনতা ও সত্য প্রকাশে থাকবে না কোন বাধা। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, একজন অসাধু জেলা ও উপজেলা গনমাধ্যম কর্মীর প্রথম চাওয়া হচ্ছে এমন একটি চ্যানেল এর কার্ড তাদের যেকোন মূল্যে হাসিল করতে হবে যা সবার কাছে খুব পরিচিত।
অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ নেওয়ার পর তার প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি/বেসরকারি যে সমস্ত অফিস অপকর্মের জন্য প্রতিষ্ঠিত সেসব অফিসে হানা দেওয়া ও নিজেকে তালিকাভুক্ত করা। এমন একজন বড় ভাই/সংগঠনের আশ্রয় নেয়া যার মাধ্যমে অপকর্মের অফিসে সহজেই তালিকভুক্ত হওয়া যায়।
একজন গনমাধ্যম কর্মীর ১ম দ্বায়িত্ব বস্তুনিষ্ট সংবাদের পিছনে ছুটে চলা, সেখানে তারা প্রকৃত ভোক্তভোগীদের পাত্তা না দিয়ে ওয়ার্ড ও নানা পর্যায়ের নেতাদের পিছনে পিছনে ঘুরা ঘুরি এবং সরকারি অসঙ্গতীর তুলে না ধরে তাদের চাটুকারিতাই করাই তাদের প্রধান কাজ। আর যখন সেসব সংবাদ প্রকাশে প্রতিষ্ঠান আপত্তি জানায় তখন নিজের এলাকার নামে নিউজ প্রোটাল করে শুরু হয়ে যায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংবাদ করা।
এসব অসাধু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গনমাধ্যম কর্মীদের কারণে যেখানে “জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গনমাধ্যম কর্মীরা” সবচেয়ে বড় শক্তি হওয়ার কথা অসাধুদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা আজ জাতির কাছে লজ্জিত।