নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে মীর কামরুজ্জামান রনিকে পদায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে কামরুজ্জামান সিকাদারকে বদলির অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। বর্তমানে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে বেগমগঞ্জ থানা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে প্রত্যাহার করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে মীর জাহেদুল হক রনিকে অফিসার ইনচার্জ বেগমগঞ্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তারা চৌমুহনী ডিবি রোড (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক), ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানপাট, মন্দির ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। ওই সময় হামলায় নিহত হন যতন সাহা (৪২) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (৩০) নামের দুইজন।
এরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোক গত শনিবার সকালে চৌমুহনীতে প্রশাসনের দায়ের করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে চৌমুহনী-ফেনী সড়ক অবরোধ করেন। ওই অবরোধ থেকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বেগমগঞ্জ থানার ওসি ও ইউএনও, নোয়াখালীর এসপি ও ডিসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছিল।