নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যবারের চেয়ে এবারের হজ যাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে। সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশ থেকে হজ গমনেচ্ছুদের সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চারগুন পিছিয়ে রয়েছে। সৌদি আরব থেকে পাওয়া কোটা অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফার হজ নিবন্ধন তারিখ শেষে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত আগ্রহী মাত্র ৩২ হাজার হজযাত্রী পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
হজ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হজ পালনে মানুষের আগ্রহ থাকলেও হজ প্যাকেজের খরচ বেশি হওয়ায় এবার নিবন্ধন কম হচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছরের হজ আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর হজ পালন করতে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি। এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি। উভয়ক্ষেত্রে কোরবানির টাকা হাজীদের পৃথকভাবে সৌদি আরব নিয়ে যেতে হবে।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এবার হজ সংক্রান্ত কার্যক্রম একটু আগেই শুরু হয়েছে। নিবন্ধন কম হওয়ার ক্ষেত্রে এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে হজ পালনের খরচ বৃদ্ধিই যে হাজযাত্রী কম হওয়ার মূল কারণ তা কেউ অস্বীকার করছেন না।
তারা বলছেন, অন্যান্যবার নিবন্ধনের সময় কারও কোটা বাতিল হলে সেটার সুযোগ নিতে অনেকের তদবির পেতে হতো। এবার নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী সাড়া খুবই কম।