স্বরুপকাঠির জনসাধারণের নিকট সর্বাধিক প্রিয় ছিলেন সদ্য বিদায়ী ইউএনও 

পিরোজপুর: একটি উপজেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা ভালো হলে পুরো উপজেলার চিত্র পাল্টে যেতে পারে এটাই প্রমাণ করে গিয়েছেন সদ্য বিদায়ী পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু।মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে স্বরূপকাঠি উপজেলাবাসীকে রক্ষা করার জন্য রাতদিন ২৪ঘন্টা কাজ করেছেন নিরলসভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ, অত্র উপজেলায় বহিরাগতদের প্রবেশ রোধে গভীর রাত পর্যন্ত পাহারায় কাটিয়েছেন কখনো নৌপথে আবার কখনো সড়ক পথে নজরদারিতে থাকতেন,প্রশাসনের লোকজন ও সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে। নিজের ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করার সময় যেন ছিলনা তার,করোনা দুর্যোগে যখন বিভিন্ন এলাকার অফিসারগণ পারসোনাল প্রটেকশন (পিপিই) ছাড়া বাহিরে বের হন না কেহ,তিনি শুধু মুখে মাক্স পরিধান করেই ছুটে চলেছেন উপজেলার সর্বত্র,কখনো অফিসের গাড়িতে আবার কখনো নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে ছুটে চলেছেন উপজেলার আঁকাবাকা প্রত্যান্ত গ্রামের মেঠোপথে।আবার যেখানে কোন যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত সড়ক নেই, সে-সকল পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছেন মাইলের পর মাইল।ক্লান্তি যেন তাকে স্পর্শ করেনি কখনও।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই কর্মকর্তা প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে জনগণের মাঝে বিতরণ করেন সরকারী সহায়তা সামগ্রী।তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন।
কখায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার এই প্রবাদ বাক্যটি শতভাগ প্রমাণ করে গেলেন,সদ্য বিদায়ি নেছারাবাদ উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার জনাব সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, তিনি গত ১১/১১/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ অত্র উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তাঁর মত সৎ, নির্ভীক, ন্যায় বিচারক অফিসার অত্র উপজেলায় দ্বিতীয় কেউ আসেনি -এটাই স্বরুপকাঠি উপজেলার অধিকাংশ সাধারণ মানুষের মনের কথা। তিনি সত্যিকারে একজন ভালো মানুষ। উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছভাবে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তিনি ছিলেন শিক্ষক বান্ধব একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি উন্নয়ন মূলক কাজে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন এবং সুযোগ পেলেই ক্লাস নিতেন। একজন স্বপ্নিল সুন্দর সুশৃঙ্খল মানুষ যার মেধা ও মননে সব সময় আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। নিজের যোগ্যতার বলে পিরোজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এমন সৎ, নির্লোভী ও সাদাসিধে জীবন যাপন করেছেন যে, তাঁর বাসায় শোবার জন্য একটি খাট পর্যন্ত নেই। অনেক অসহায় গরীব কণ্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে বিয়েতে সাহায্য করেছেন। মাত্র ১ বছর ৬ মাস ৩ দিন অতি অল্প এই সময়ের মধ্যে তিনি অত্র উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন এবং সার্বক্ষণিক উপজেলার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন । বিগত ১০ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় বুলবুলির আঘাতে লন্ডভন্ড নেছারাবাদ উপজেলার প্রতিটি জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বন্যা শেষ হতে না হতেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন পড়ে থাকা গাছ অপসারণের জন্য। উপজেলার প্রতিটি উন্নয়ন মূলক কাজের তদারকি করতেন সরেজমিনে গিয়ে। যে কারণে সাধারণ মানুষ তাকে আজীবন মনে রাখবে। কাজ করতে গিয়ে আবার অনেক মানুষের ক্ষোভের কারন হয়েছেন। তবুও তিনি দমে থাকেনি তার কাজ তিনি চালিয়ে গেছেন শেষ দ্বায়িত্ব পর্যন্ত, কোন প্রকার অন্যাযের় প্রচায় কখনো দেয়নি বলে নেছারাবাদ উপজেলার মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সোশ্যাল মিডিয়ায় , ফেসবুকে তাকে বিদায় সম্বর্ধনা জানিয়েছে অনেক শিক্ষক,জ্ঞানী, এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ । নেছারাবাদ উপজেলায় ১৩/৫/২০২০ সর্বশেষ অফিস করেছেন এবং তিনি রাজবাড়ীর এডিসি হিসেবে যোগদান করবেন।এবং দেশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হয়ে সাধারণ জনগণের পাশে থাকবেন শেষ দ্বায়িত্ব পর্যন্ত এটাই কামনা স্বরুপকাঠি বাসির।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title