তৈয়বুর রহমান, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রী অপহনের পর ধর্ষনের অভিযোগের ২২ দিন পর অপহৃত শিক্ষার্থীকে শ্রীপুর উপজেলার থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে রবিবার রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে অপহরণকারী লম্পট ধর্ষক বদরুল (২৫) কে আটক করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ধর্ষকের বাড়ী শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাংগুন গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে।
আটককৃত ওই ধর্ষককে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর আদালতের প্রেরণ করেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের শারিরীক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিবার ১০ জানুয়ারী রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বার ৮।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় দিকে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে আজমতপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজে যায়। তার বাড়ি ফিরতে দেড়ি দেখে শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আতœীয় স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে ২১ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (৯২৭) করে। পরে ১০ জানুয়ারী রবিবার রাতে ওই ছাত্রীকে শ্রীপুর থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভিকটিম জানান- মোবাইল ফোনে বদরুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথা হতো সেই সুবাধে তাদের মাঝে প্রেমের সখ্যতা গড়ে উঠে। তার কথা মতো ও শিক্ষার্থী ১৯ ডিসেম্বর জাঙ্গালীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে। বদরুলসহ তার অজ্ঞাত আরো কয়েক বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে জাঙ্গালীয়া এলাকায় তার এক ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে লম্পট বদরুল। অপহৃত শিক্ষার্থীর বাড়ী উপজেলা মোক্তারপুর ইউনিয়নের বাড়গাঁও গ্রামে।