সাংবাদিক ও নিম্নবৃত্তদের অশ্রু ভেজা হাস্য উজ্জল চোখ-প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ
রাজশাহী : করোন ভাইরাস আতঙ্কে দেশের মানুষ এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এদেশের সেনাবাহিনী, নৌ, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে। ওই সময় সাংবাদিক পেশাজীবি এবং নিম্নবৃত্ত শ্রেনীর মানুষরা পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার। করোনার ভয়াবহতায় মোকাবেলায় ধৈয্যের পরীক্ষা দিতে গিয়ে সাংবাদিক ও নিম্নবৃত্তদের অশ্রু ভেজা হাস্য উজ্জল চোখ।
সাংবাদিকরা সার্বক্ষনিক বিভিন্ন দপ্তরের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্মকান্ডের সকল ধরনের তথ্য অল্প সময়ের মধ্যে প্রচার করে দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে সচেতনতার বানি। খাদ্যসহ সকল প্রয়োজনিয় দব্যাদি যখন একশ্রেনীর মানুষের কুটিরে তখন সাংবাদিক ও নিম্নবৃত্তের পরিবারে নিভু নিভু খাদ্য তৈরীর আগুন জ¦লচ্ছে। এই সংক্টময় সময়ে আপন স্বজনদের আচরণ অপরিচিত মানুষের মতো। ইয়-নাফসি এখন করোন ভাইরাস সংকটে শুরু হয়ে গেছে।
এই পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত উচ্চবৃত্ত, বৃত্তবান ও মধ্যবৃত্তদের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি, দলীয় নেতা, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্য, ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নেই কোন চিন্তা, অভাব কখনও তাদের দরজায় কড়া নাড়বে না। অভাব অনটনে জীবন যুদ্ধে পুড়ে আঙ্গার হয়ে যাবে কিন্ত বিবেকের কাছে পরাজয় সৈনিক সাংবাদিক ও নিম্নবৃত্তরা।
দেশের ৬৪ জেলা এবং ৪৯০টি উপজেলায় তৃর্ণমূলের সংবাদ সংগ্রহ করছে। সংগ্রহীত সংবাদ কেন্দ্রিয়ভাবে প্রচারণার কাজ করছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা বা টেলিভিশনের কার্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্ত বিনিময়ে সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা ও উপজেলার মফম্বলের সাংবাদিকরা। নতুন বা পুরাতন পত্রিকা প্রকাশের নেই কোন কমতি আছে শুধু বৈষম্যতা। দেশের রাজাধানী ঢাকা কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে সকল কর্মজীবি সাংবাদিক তাদের পারিশ্রমীক পাচ্ছে, শুধু বঞ্চিত হচ্ছে মফস্বলের সাংবাদিকরা।
তৃর্ণ পর্যায়ের সংবাদ ঢাকায় না পৌছলে উন্মোচিত হবেনা দেশের ভাবমূতি। সকল ধরনের অপরাধের চোখ, বিনোদন, সৃষ্টি, প্রকল্প বাস্তবায়ন, খেলাধূলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র অন্ধকারে থাকবে। বর্তমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় সর্বাধিক কাজ করছে সাংবাদিক। কিন্ত সাংবাদিক নিরপত্তা হিনতাসহ অভাব অনটনের মাধ্যমেই ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে।
গত ৮ই মার্চ করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হবার পর থেকেই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশা পাশি কাজ করে যাচ্ছে সাংবাদিক। কিন্ত সিংহভাগ সাংবাদিকরা বেতন বা সন্মানী ছাড়ায় দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করে আসছে। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে এই শ্রেনীর সাংবাদিকদের পরিবার পরিচালনায় ডেড লাইনে অবস্থান করছে দেশের মফস্বলের সাংবাদিকরা। তার সাথে নিম্নবৃত্তের মানুষেরাও নানা সমস্যায় আছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না হলে অবেহেলায় থেকে যাবে সাংবাদিক ও নিম্নবৃত্তদের পরিবার।