শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি: শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো. বেলাল হোসেন সুজন ওরফে পাখি সুজনের বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ কারার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এর আগে তিনি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিশকৃত হয়েছে বলে জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, গত বছর (২০১৯ সাল) মন্ত্রণালয়ে চাকুরি দেয়ার নামে লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সুজন। দীর্ঘ সময় পার হলেও বিভিন্নভাবে কালক্ষেপন করে চলেছে । টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা ধরণের হুমকি প্রদানও করে আসছে সুজন । ভূক্তভোগী ব্যক্তি এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্মরণাপন্ন হলে টাকা কেমনে পাও তা আমি দেখে নেবো বলে পাওনাদারদের ছাপ ছাপ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার ওঠাবসা বড় মাপের রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে ।
এছাড়াও শেখ পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ আলাপচারিতা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বরগুনার ওই নব্য সাহেবের পাওয়ার পাওনাদারদের সাথে এক্সারসাইজের মাধ্যমে সহজ ভাবে বোঝাচ্ছেন । কোন কিছুই করার মতো কেউ আছে বলে সুজনের মনে হয়না বলে ভূক্তভোগীদের কথা । এলাকা থেকে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন বছর তিনেক আগ থেইে । কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দিব্বি সরকারি-বেসরকারি চাকুরির দালালি করেই চলেছে সুজন।
গত ২০১৬ সালে ছাত্রলীগের ওই নেতা শুধু বহিশকৃতই হয়নি বরং তার বিরুদ্ধে শহরের একজন দন্ত চিকিৎসককে গুম, জমি দখলসহ নানা ধরণের অভিযোগে একাধীক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। চাঁদাবাজীর ওই মামলা নং (২০/১৫-১১-২০১৬), সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ ১৬/১১/২০১৬। মাথার উপরে শতাধীক অভিযোগ ও হাফ ডজন মামলা নিয়ে বীরদর্পে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি পদে হাটু গেড়ে বসে আছেন আজও । এই সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট কমিটিতে উচ্চ আশনে বসাবেন বলে করেছেন টাকার বিনিময় । সেই সাথে সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম তার নিত্য নৈমিত্তিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এ ব্যাপারে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব কে এম শহীদুল্লাহ্ বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো আমাদের জানা ছিলোনা । তবে বিষয়টি গ্রুপিং কিংবা সত্যতা আছে কীনা, বিষয়টি জাবাব চাইব । খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করব।