শিগগিরই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি

ঠাকুরগাওঁ প্রতিনিধি: শিগগিরই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।

বুধবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পাঠাগার পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধানের যে সংশোধনীর কথা বলে সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, সেই পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধ নয়। সেটি সংবিধান ও বিচারকদের রায় বিরোধী। ফলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস এমন জায়গায় চলে গেছে যে, তিনি আর ক্ষমতায় নেই, সেটা বুঝতে পেরেছেন। কারণ তিনি নিজেই বলেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ দিয়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন; আর না দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

দেশে উন্নয়ন বিভ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হয়েছে। এই সরকার জনগণের ইচ্ছার বাইরে অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশের মানুষের এখন একটিই লক্ষ্য, তারা তাদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংসদ বিলুপ্ত করে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা, বই পড়ার মধ্য দিয়ে মনকে বিকশিত করা এবং মুক্ত চিন্তাকে সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। উপরন্তু তাদের প্রচেষ্টা হলো- শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থা তৈরি করা। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে তথাকথিত উন্নয়নের নামে কিছু স্ট্রাকচার তৈরি করে লুটপাট ও দুর্নীতির পথকে সুগম করা। তাদের একটিই লক্ষ্য দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দেওয়া।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, গত ৪ জুন সারা দেশে বিএনপির ২০টি জেলা কার্যালয়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সারা দেশের প্রতিটি জেলা কার্যালয়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title