শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে সব শিক্ষার্থী ভর্তির পদক্ষেপ দিয়েছে সরকার। এই  পরিস্থিতিতে লটারিতে শিক্ষার্থী বাছাই সঠিকভাবে মনিটরিং করা গেলেই রাজধানীর নামি-দামি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনার কারণে বাধ্য হয়ে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে।’

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়ে যুক্ত তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের পাঠ্যক্রম পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আসছে, তাতে কোনও স্কুলে পড়ছি তা নিয়ে খুব বেশি একটা তফাৎ থাকবে না। যে স্কুলেই পড়ুক না কেন টেলিভিশনে যে ক্লাসগুলো হচ্ছে তা সবার জন্য সমান মানের। ২০২২ সালে যে শিক্ষাক্রম আসছে, কোন স্কুল কতটা নামি, আর বাকি শিক্ষার্থীরা কতটা মেধাবী, সেটার চেয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজে নিজে দলগতভাবে, কমিউনিটির সঙ্গে হাতে-কলমে কীভাবে কাজ করবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘নামি স্কুলগুলো সর্বোচ্চ মেধাবী বাছাই করে নিচ্ছে। কিন্তু সবার ফল কী ভালো হচ্ছে? তাতো না, সেখানেও হেরফের হচ্ছে। এসব বিদ্যালয়গুলো যদি এতই ভালো হয়, তাহলে তাদের নিজস্বতা কোথায়। তারা তো নিচ্ছেই ভালোগুলো। যদি তারা সব রকমের শিক্ষার্থী নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ফল ভালো করতে পারে, তাহলে বলবো এই বিদ্যালয়গুলোর কৃতিত্ব রয়েছে। তারা অনেক ভালো করে শেখাতে পারছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title