আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ণ নিরাপত্তার শর্তে এবার বিদ্রোহ থেকে সরে এসে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যারাকে ফিরে যাচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী। এরই মধ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অপরাধের মামলা তুলে নেয়া হয়। সেই সঙ্গে যারা এই বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন সেই সব সেনাদেরকেও সব ধরনের অপরাধ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বাহিনীটি ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পক্ষে সশস্ত্র অভিযানে যোগ দেয় এবং ক্রেমলিন অনেকবার তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে। ভিডিওতে দেখা যায় ওয়াগনার বাহিনীর ফিরে যাওয়ার সময় তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন স্থানীয় জনতা।
এর আগে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন ভাড়াটে বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। বিদ্রোহ থেকে সরে আসার পর নিজের সেনা ও বিভিন্ন যুদ্ধযান নিয়ে রাশিয়ার রসটভ অঞ্চল ছেড়ে যেতে শুরু করেন প্রিগোজিন। বিদ্রোহ ঘোষণার পরই ভাড়াটে এই বাহিনী রুশ সেনাবাহিনীর একটি হেডকোয়ার্টার দখল করে। এরপর তারা রাজধানী দখল করার জন্য মস্কো অভিমুখে যাত্রা করে।
স্থানীয় সময় শনিবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওয়াগনার প্রধানের কথা হয়েছে তিনি রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশ যেতে পারবেন। যদিও তিনি রসটভ অঞ্চল ছেড়েছেন।
পেসকভ আরও বলেন, বেলারুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রিগোজিনের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে প্রিগোশিন তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।
পেসকভ বলেন, ওয়াগনারের সেনারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গ এক চুক্তি সই করবে। তারা যে বিদ্রোহ করেছে এজন্য তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। কারণ ক্রেমলিন সব সময় ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ কাজের সম্মান জানিয়ে আসছেন।
এর আগে রাশিয়ার ভাড়াটে এই বাহিনী সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দাবি করেন, শুক্রবার তার সেনাদের ওপর রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এর জবাবে ক্রেমলিনের সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নিজ সেনাদের মস্কোর দিকে পাঠান।
সূত্র: রয়টার্স