পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের পরিবহণের জন্য লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীর চাপ না কমা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে। তবে কোন সময় পর্যন্ত চলবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু লঞ্চ ও ফেরিঘাটে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যাত্রী পারাপার সম্ভব না বিধায় সময় বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) রফিকুল ইসলাম রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে, এমন একটি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। অনেক যাত্রী, সরকার যে উদ্দেশ্যে লঞ্চ চলাচল খুলে দিয়েছে সেটা ১২টার মধ্যে পূরণ হবে না। সেজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে।’
কোন সময় পর্যন্ত চলবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, লঞ্চ চলবে আপাতত এটা বলতে পারি। কোন সময় পর্যন্ত চলবে সেটা এখন বলতে পারছি না। সেই সিদ্ধান্তটা আমরা এখনও পাইনি।
এদিকে যাত্রীর চাপ না কমা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি বলেন, যাত্রীর চাপ না কমা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল আমরা চালিয়ে যাবো। তবে এ বিষয়ে আজ রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর গতকাল শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকে পড়া শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সীমাহীন দুর্ভোগ সয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।