ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : লকডাউন নিয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ খোলা রেখেছে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ক্রয়-বিক্রয় করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষনা দেয় সরকার। সেই আলোকে বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধাণ বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে কঠোর নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চৌমুহনী শহরের অধিকাংশ দোকানপাঠ, শপিং মল খোলা দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নির্দেশনা মানছে না। সোমবার দুপুরে চৌমুহনী শহরের ব্যবসায়ীরা লকডাউন বিরোধী মিছিল করেছে। এ সময়ও স্বাস্থ্য বিধি মানা হয়নি। অনেকের মুখেই মাক্স ছিলোনা। এতে করে চৌমুহনীতে করোনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
চৌমুহনী শহরের বাসিন্ধা শফি উদ্দিন ও ফজলে এলাহি সোহাগসহ একাধিক সচেতন নাগরিক জানান, ব্যবাসয়ীরা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি না মেনে এভাবে রাস্তায় মিছিল বের করা ঠিক হয়নি। দোকান খোলা রাখার বিষয়টি প্রশাসনের সাথে কথা বলেও সামাধান করা যেতো। তাছাড়া বরাবরই চৌমুহনী ঝুঁকিপূর্ন শহর। আমরা আগে বাঁচতে হবে, তার পর ব্যবসা-বাণিজ্য। যারা এই কাজ করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনারও দাবী করেন সচেতন মহল।
চৌমুহনী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন করিব জানান, গত লকডাউনে ব্যবসয়ীরা শেষ হয়ে গেছে। সবারই জীবন জীবিকা রয়েছে। এখন ব্যবসায়ীরা লকডাউন মানছেনা। তারা দোকান খোলা রাখবে। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত আর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাসছুন নাহারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমাদের নির্দেশনা আর লকডাউন বলবৎ থাকবে। ব্যবসায়ীদের বিষয়টি ডিসি স্যারের সাথ বসার পর সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত গত নয় মাসে নোয়াখালীতে সবচেয়ে সোমবার বেশী করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১১ জনে।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৩৯ জন।
Next Post