রামেক হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি প্রবণতা বৃদ্ধি ,পুলিশের তৎপরতা জোরদার

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী (শহর) প্রতিনিধি: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির প্রবণতা বৃদ্দি পাচ্ছে। গত বুধবার ২য় বারের মতো ৩দিনের বয়সের শিশু চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে রামেক থেকে আরো একটি শিশু চুরি হয়েছিল। নবজাতক চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধার করেছে আরএমপি ডিবি পুলিশ। শনিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক চুরি হওয়া শিশুর উদ্ধার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রামেকে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত বলে মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সম্প্রতী ২য় বার গত ২০ তারিখ সকাল ৯.৩০টার সময় রামেক হাসপাতালের ২৩ নং ওয়ার্ডে শ্রী মাসুম রবি দাশ এবং শ্রীমতি শিল্পি রাণী দাস (কমলী) লক্ষীপুর আইডি বাগানপাড়ার দম্পতির একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। অজ্ঞাতনামা মহিলা (বয়স অনুমান ৩৫- ৪০) মায়ের অজান্তে শিশুটি চুরি করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার পরপরই পুলিশ কমিশনার নির্দেশনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবু আহাম্মদ আল মামুন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রাকিবুল ইসলাম এর এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুটি উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরএমপি এসআই ছয়ফুল ইসলাম, এসআই শাকিল হুদা জনি, এএসআই সাইদুল ইসলাম, কং মাহফিজুর রহমান, কলেষ্টবল  তৌহিদুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো মোসাঃ মৌসুমি বেগম(২৩) কে আটক করে। আটককৃত নারীর  স্বামী মোঃ সজিব। তারা মহানগরের বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন রাণীনগর পানির ট্যাংকি(পল্টু কমিশনারের বস্তি) এলাকর  তাদের নিজ বাড়ী থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশুকে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
রামেক হাসপাতালের সহাকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম মোঃ আতার্তুক বলেন, রামেক হাসপাতালে নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। অনেক রোগীদের আত্মীয় স্বজনরা প্রয়োজনে হাসপাতালে আসেন। কোন কোন সময় মিথ্যা পরিচয়ে অপরিচিত ব্যাক্তিরা হয়তো বা প্রবেশ করছে। বর্তমান হাসপাতালের ৭টি ফটক আছে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে একটি বা ২টি গেইট খোলা রেখে বাকি গুলো বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া রামেকে ৭৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে এবং খুব শিগ্রই অরো ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। জুরুরী সেবা দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ এর বিকল্প হিসাবে আইপিএইস ব্যবহার করা হবে এবং  হাসপাতালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আরো ২৫ জন আনসার সদস্য যোগ করা হচ্ছে।
আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, রাজশাহী মহানগর সিসি ক্যামেরয় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পূর্বের তুলনায় বর্তমান অপরাধীদের খুব দ্রুত আটক করা হচ্ছে। ক্রমশয় অপরাধ কমছে। সম্প্রতী কিশোর গ্যাং, ডিজিটাল আইন নিরাপত্তা কমাতে কাজ করছে আরএমপি পুলিশ। তবে সকল স্তরের মানুষ এগিয়ে আসলে এই জেলা নয় সমগ্র দেশটাকে অপরাধ মুক্ত রাখা যাবে বলে করেন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title