রাজশাহী বাগমারায় প্রতারণা করে জমি জালিয়াতির মূলহোতা প্রতারক উজ্জল হোসেন গ্রেফতার

বাগমারা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বাগমারায় প্রতারণা করে জমি জালিয়াতির মূলহোতা প্রতারক উজ্জল হোসেন (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

তিনি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের বড়মাড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত উজ্জল হোসেনকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে।

বাগমারা থানা পুলিশ জানায়, বড়মাড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর প্রতারক ছেলে উজ্জল হোসেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে সাধারন মানুষের সাথে নানা ভাবে প্রতারণা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারনার অভিযোগ থাকলেও প্রমান না পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

গত ২০১৯ সালের মে ও জুন মাসে প্রতারক উজ্জল হোসেন উপজেলার মাড়িয়া মৌজায় আরএস খতিয়ান ১০০ ও ৩৭৪, প্রস্তাবিত খতিয়ান ৬৪৩, হোল্ডিং নং ৬৭০, জমির পরিমান ৭০ শতাংশ উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের কাছে নগদ ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৩৪৯৩ ও ৪১২৬ নম্বর দুইটি দলিল ভবানীগঞ্জ সাবরেজিষ্টার অফিসে রেজিষ্ট্রি করে দেন। ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের কাছে জমি গুলো বিক্রির পূর্বে গত ২০১৭ সালে ৪৮৭৬ এবং ২০১৮ সালে ৩৩৯৫ নম্বর দলিল মূলে একই জমি ভবানীগঞ্জ মহল্লার আব্দুস সোবহান নামের এক ব্যবসায়ীরা কাছে বিক্রি করেন। শরিফুল ইসলাম জমিটি দখলে গেলে আব্দুস সোবহান জমির মালিক বলে দাবী করেন।

শরিফুল ইসলাম জানতে পারেন প্রতারক উজ্জল হোসেন জমিটি তার কাছে বিক্রির পূর্বেই সে আব্দুস সোবহানের কাছে বিক্রি করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন মিমাংসায় বসলে প্রতারক উজ্জল হোসেন টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার কারনে প্রতারক উজ্জল হোসেন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামকে জমির টাকা ফেরৎ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। প্রতারক উজ্জল হোসেনের এমন কর্মকান্ডে ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বাগমারা থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই প্রতারক উজ্জল হোসেনকে মাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের অভিযোগ, প্রতারক উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় প্রতারনা করে আসছে। প্রতারনা সময় কোন প্রমাণ না রাখায় আইন শৃংলা বাহিনীর সদস্যরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছিল না। এলাকায় তার বিরুদ্ধে হাজার রকমের প্রতারনার অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারনা করায় আসামী উজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় প্রতারনা মামলা হওয়ার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতারক উজ্জল হোসেনের সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title