ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী: সারাবিশ্ব ব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা কেন্দ্রিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এদেশ ও তার ব্যাতীক্রম নয়। কিন্ত রাজশাহী জেলার সারদা নামক স্থানে স্বাভাবিক গতিতে চলছে কোচিং বানিজ্য । প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে সরকারী ও বে-সরকারীর স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা তাদের কোচিং বানিজ্য চলমান রেখেছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা এখন কোচিং নগরীতে পরিণত হয়েছে। সরকারী নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে যে যার মত অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রয়ের দোকান খুলেছে এক শ্রেনীর শিক্ষক। কোভিড-১৯ মোকাবেলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে কোন রকম কর্মসূচী পালন করছে না চারঘাট উপজেলা প্রশাসন।
তথ্য সংগ্রহকালে বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৬.৩০ টা থেকে শুরু করে ৮ টা, দুপুর ৩ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোচিং কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। সরদহ সরকারী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক মুকুল হোসনে ও মিজানুর রহমান, সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাপক ভাবে কোচিং বানিজ্য কায়েম করেছে সাইফুল ইসলামের পরিচালিত “স্ইাফ কোচিং সেন্টার”।
কোচিং সেন্টারের পরিচালকদের একই কথা, তাদের কোচিং সেন্টারের বিষয়ে ইউএনও এবং শিক্ষ অধিদপ্তর অবগত আছেন। সাংবাদিকদের সাথে জবাবদিহিতার কোন প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত বিষয়টি খোলাসা করে জানতে চাইলে কোচিং সিন্ডিকেট স্থানীয় দলিয় নেতার আশ্রয়ে গনমাধ্যমকে দমন করার চেষ্ট করছে। চারঘাট ও সারদার অন্যান কোচিং সেন্টারের পরিচালকরা বলছেন, আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। অদৃশ্য ক্ষমতার বলে ওই সকল কোচিং সেন্টার চলামন রয়েছে। ইউএনও দাপ্তরিক কাজেই ব্যাস্ত সময় পার করছেন। সর্ব সাধারনের সেবায় তার ভূমিকা খুবই ক্ষিন।
চারঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদিন এবং প্রাথমিক শিক্ষ কর্মকর্তা রসিদা ইয়াছমিন বলেন, তাদের হাতে কোন প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। তবে জেলা অথবা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। প্রচলিত শব্দে বাক্য গঠন “অভিযোগ বা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে” বলে জানান ইউএনও সৈয়দা সামিরা।