চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে নৌপুলিশের সঙ্গে ‘সংঘর্ষে’ এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত জেলের নাম মাসুদ মিয়া (২৫)।
সোমবার মধ্যরাতে মোহনপুর এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জেলেকে আটক করার পাশাপাশি ২৫ কেজি জাটকা, দুই হাজার মিটার জাল ও ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত মাসুদ মিয়া মুন্সীগঞ্জের কালীরচর এলাকার আবুল মালের ছেলে।
মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হোসেন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরার কারণে একদল জেলেকে আটকের চেষ্টা করে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির টহল দল। এ সময় জেলেরা তাদের নৌকা থেকে পুলিশের ওপর লগিবৈঠা ও ইটের টুকরো নিয়ে হামলা চালায়। এতে পুলিশ শটগানের দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এতে মাসুদ নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। তার বাম পায়ের হাঁটুর ওপরে গুলিটি লাগে। তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ২৫ কেজি জাটকা, দুই হাজার মিটার জাল ও ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
মৃত্যুর খবর শুনে মুন্সীগঞ্জের কালীরতর থেকে শত শত নারী-পুরুষ মোহনপুর নৌফাড়িতে এসে ঝরো হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশিষ দাশ জেলা প্রশাসক এর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুই মাস মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময় অবৈধ ভাবে মাছ ধরতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটেছে। মা কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেই দিকে নজর রাখা হবে।
এসময় নৌপুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান, মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নৌপুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, জেলেদের হামলায় নৌপুলিশ এর ইনচার্জ মোহাম্মদ হোসেন সরকার’সহ ৫জন আহত হয়েছে।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা দুই মাস জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
মনিরুল ইসলাম মনির,
মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি