মৃত্যুর নয় মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

বরগুনায় মৃত্যুর নয় মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হলো নাসির হাওলাদার এর মরদেহ। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার সূত্র ধরে ৯মাস পরে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।

২০২০ সালের মে মাসে কয়েক দিন ধরেই নাসির হাওলাদার কে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তার স্ত্রী মিতু ও মিতুর কথিত দেবর রাজু মিয়া। মিতু ও রাজুর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৩শে মে রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে নাসিরকে অজ্ঞান করে মিতু,এরপর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মিতু ও রাজু দুইজন মিলে নাসিরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে নাসিরের স্বাভাবাবিক মৃত্যু হয়েছে এমনটি নাসিরের স্বজনদের জানায় মিতু। ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ মিতু ও রাজুর নাসিরকে হত্যার পরিকল্পনার ফোনালাপ ফাস হলে ঐদিন রাতেই বরগুনা থানা পুলিশ মিতু এবং রাজুকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত মিতু ও রাজুকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় সাথে সাথে নাসিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। আজ সকালে কবর থেকে উত্তোলন করা হয় নাসির এর মরদেহ এবং উদ্ধার করা নাসিরের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঢাকা মহাখালীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।

রাসেল হাওলাদার,
বরগুনা প্রতিনিধি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title