মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আহসান কবির খান ও তার পরিবারের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ ও ওসি’র প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ীলীগ।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের শফিউদ্দির মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আহসান কবির খান অভিযোগ করেন, টঙ্গীবাড়ী থানার এক পুলিশ সদস্য তানজিল তার বাড়ির ভাড়াটিয়া। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই তাকে সংক্রমণ এড়ানোর জন্য বারবার সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু কোন রকম সতর্কতা না মেনে ওল্টো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজন নিয়ে বাড়িতে আসা যাওয়া করছিলো। এনিয়ে গত ১৪ই মে কথা হলে বাকবিতর্কে জড়ায় তানজিল। এঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে একইদিন রাতে থানা পুলিশের অর্ধশতাধিক সদস্য আমার ও আমার পরিবারের ২নারী সহ ৪সদস্যকে মারধর ও অমানবিক নির্যাতন চালায়। শুধু নির্যাতন নয় পরবর্তীতে আরো হেনস্তা করার জন্য ৪জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দায়ে করে ২জনকে আদালতে প্রেরণ করে।
আওয়ামীলীগ পরিবার হওয়ায় উদ্দ্যেশ প্রণোদিত এ নির্যাতন করা হয়েছে বলে উল্লেখ্য করে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোঃ আওয়ালাদ হোসেনের প্রত্যাহারের দাবী জানায় ভোক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে আহসান কবির খানের পরিবারের সদস্য ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জগলুল হালদার ভূতু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ বারেক, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাহিদ খান, সাবেক ভাইস- রাহাত খান রুবেল, সোনারং-টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিটন শেখ সহ অন্যান্যরা।
এবিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন জানান- তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ই মে সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্য তানজিলকে মারধর করে কবির খান। এঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন মামলা থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে সে।