মহামারি করোনার সময়ও জনগণের পাশে নেই বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল

করোনার সময়ও জনগণের পাশে নেই বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল

নিজস্ব প্রতিবেদক :  প্রায় পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভা্ইরাস সংক্রমন থেকে বাঁচতে জনগণকে সচেতন করার মতো কর্মসূচি পর্যন্ত নেই অধিকাংশ দলের।
ঢাকায় কিছু কর্মসূচি থাকলেও অন্যান্য জেলায় নেতা-কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। রাজনৈতিক ও গোষ্ঠীচিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে করোনা মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তো পরের কথা, নিজ দলীয় কর্মসূচিও নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন থাকতে ও শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখতে দরকারি পণ্যগুলোর বাজারে চড়া দাম। কম আয়ের মানুষরা সেসব কিনতে পারছেন না। কিন্তু কীভাবে তাদের কাছে সেসব পণ্য পৌঁছানো যায়, এ ভাবনা আছে খুব কম দলেরই। মহামারির মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকার বিষয়টি নিম্ন আয়ের মানুষকে আরো বেশি ভোগান্তির মধ্যে ফেলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব বিষয়ে নীরব অধিকাংশ দল। সংসদ সদস্যরাও নেই নিজ এলাকার জনগণের পাশে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও (জাপা) নেই মানুষের পাশে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নেই দরকারি পণ্য নিয়ে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা অসচেতন ও গরিব মানুষের পাশে। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের মহাজোটের শরিক কোনো দলও নেই মাঠে। বিএনপির নেতৃত্বের ২০ দলীয় জোটের শরিক কোনো দলের নেই জনগণকে সচেতন করার মতো কর্মসূচিও। জনগণের ইস্যুতে যে বাম দলগুলো সরব, তাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই কর্মসূচির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলা উপজেলা পর্যায়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জনগনের বাসায় বাসায় গিয়ে সাহয্য ও সচেতন করা চেষ্টা করলেও, অধিকাংশদের জন প্রতিনিধি হোম করোনটাইনের অযুহাতে বাসায় বসে আছেন।

এদিকে, করোনা মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গুলো তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন জনগনের পাশে দাড়ানো। কিন্তু সেই জনগনের জনপ্রতিনিধি এখনও বাসায় বসে আছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষনা করেছে সরকার। ফলে বিপাকে পরেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ঘরে ঘরে খাবার ও আর্থিক সাহায্য পৌছে দেওয়া হবে। সেইসাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিদের্শ দিয়েছেন মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার পৌছে দিতে। এরপরও তেমন কাউকেই এখনও জনগনের পাশে দাড়াতে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৪ হাজার জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title