অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি: আম্পান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া ঘরটিই ছিলো বিধবা লক্ষী রানীর একমাত্র আশ্রয়স্থল। তীব্র শীতে বাবা হারা ৮ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে জড়োসড়ো জীবন কাটছিলো তার। নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর আদিবাসী পাড়ার মৃত অনিল সরকারের স্ত্রী জয় লক্ষী রানীর এই কষ্টের চিত্র কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম ও বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন সহ বিভিন্ন মহলের। পরের দিনই ইউএনও ও মেয়র সরেজমিনে ওই বিধবার বিধ্বস্ত জীর্ণ গৃহে এসে খোঁজ-খবর নেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে শীত বস্ত্র ও চাল, তেল, ডাল সহ বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এ সময় বিধবার জন্য অতি দ্রুত নতুন ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন ইউএনও এবং অবশেষে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিধবার হাতে তুলে দেন নতুন ঘরের চাবি।
পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গৃহহীন থাকবে না কেউ আর বাস্তবায়নে গরীব দুখীর পাশে আমরা আছি ও থাকবো।
ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভালো কাজ করতে পারার আনন্দই আলাদা। এখন থেকে ওই ছোট্ট শিশুসহ তার বিধবা মা ভালো ঘরে ঘুমাতে পারবে। আর এই সুখটা বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের সকলের। ইউএনও আরও জানান, সরকারী তহবিল থেকে দুই বান টিন ও ৬ হাজার টাকা নগদ সহায়তাসহ পৌর মেয়রের সহায়তায় এই অসহায় বিধবাকে একটি বড় টিনের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তিনি এ কাজে সহায়তা প্রদানকারী সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।