বেঁচে থাকা
শিখা গুহ রায়
সময় পেরিয়ে যায় অজান্তে
চেনা গন্ধ ভাসিয়ে নিয়ে যায় নীল সমুদ্রে,
অনুভুতি গুলো অন্তর ছুঁয়ে
মুহুর্তেই ফিরে আসে,আমার কবিতা স্পর্শ করে।
স্পন্দনের ধ্বনি শুনি,ডিপ ডিপ
অন্তর জ্বলে উঠে, অশ্রু ঝরে যন্ত্রণায়।
কষ্ট গুলো নিঃশব্দে….
কয়লার মতো নিভু নিভু ছাই ।
আকাশের তারাগুলো দিশেহারা
ঘন মেঘের আড়ালে।
স্মৃতি গুলো রংধনু হয়ে ভাসে
সপ্নগুলি উদাসীন ঝড়ে
বুকের মধ্যে প্রতি মুহুর্তে
সন্ধ্যা প্রদীপের আলোয়।
অবহেলা অনাদরে
থেমে যায় শব্দহীন জীবন।
স্রোতের মতো অন্ধকারেে
হারিয়ে য়েতে থাকে চোরাবালিতে।
বড় সাধ জাগে মাধবী লতার মত আষ্ঠে-পৃষ্ঠে
একে অন্যকে জড়িয়ে ধরি আলতো করে।
আমার ভাবনাগুলো
প্রজাপতির ডানায় রোজ কল্পনায় তোমার ছবি আঁকে।
ফিরিয়ে নিও না মুখ নির্বিকার ভঙ্গিতে
একটা সুন্দর সমতার বাগান সৃষ্টি করো,
যেখানে দু-জন দুজনার কল্পনায়
একসাথে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পারি।