লালমনিরহাট প্রতিনিধি: পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ ঠেকাতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়েছ ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পরবর্তী কোন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ১৪ মার্চ থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন দিয়ে আর কোনো পাসপোর্টধারী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানান, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। একই দিনে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ নার্জিনারী।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভারত সরকার তাদের দেশে প্রবেশ ঠেকাতে সকল ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে। সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে চিঠি পাঠিয়ে একই দিন বিকাল ৫টা থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে না পাঠাতে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে আহ্বান জানান ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ নার্জিনারী। তিনি বলেন, ভারতীয় কোনো নাগরিক তার দেশে প্রবেশ করতে চাইলে তারা যেতে পারবেন। তবে অন্য দেশের কোনো নাগরিককে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশনে গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ কারণে শনিবার (১৪ মার্চ) থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না ভারতীয় ছাড়া অন্য কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী।
ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্যিক প্রবেশ পথ বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে প্রতিদিন অর্ধসহস্রাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। যার বেশিরভাগই চিকিৎসা আর ভ্রমণ ভিসায়। ভারতীয়দের পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের যাত্রীরাও এ পথ ব্যবহার করেন। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এ সংখ্যা এক থেকে দেড়শ জনে নেমে এসেছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ভারত সরকার যে সিদ্ধান্তে চিঠি পাঠিয়েছে সেটি বলবৎ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ১৪ মার্চ থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন দিয়ে আর কোনো পাসপোর্টধারী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।