প্রদীপ কুমার সরকার, গ্রীস : উৎসাহ-উদ্দীপনায় গ্রীসে মহান বিজয় যথাযথ মর্যাদায় গ্রীসে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে । ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় তাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করেন । এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও দূতাবাস পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
গ্রীসসহ সারা বিশ্বে চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতি এবং গ্রীসের লক-ডাউন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রবাসী ভাই-বোনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ বছর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান অন লাইনে জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় উপলক্ষ্যে
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
দূতাবাসের কাউন্সেলর জনাব সুজন দেবনাথের সঞ্চালনায় মুজিব বর্ষে মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশেষ অন লাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীসের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ মহান বিজয় দিবসে
বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তাগণ এই করোনা পরিস্থিতিতে অন লাইন আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের নানমূখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে অবদান রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদৃঢ় নেতৃত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীতে দূতাবাসের গৃহিত সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।