নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে শতভাগ চিকিৎসাসেবা পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মহানগর নাট্যমঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের এক সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জেলা, উপজেলাসহ দেশের সবখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূলে চিকিৎসাসেবা পাবেন। চিকিৎসা, ওষুধ, পরীক্ষা ও এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় সবই বিনামূল্যে দেয়া হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ডিএসসিসির এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেয়া হচ্ছে, ঘরও পাচ্ছেন তারা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত স্থানগুলো এবং বধ্যভূমিগুলো সরক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো বিশেষ ডিজাইনে করা হবে, যাতে ৫০ বছর পরেও সেটি কার কবর তা বোঝা যায়।
এ সময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এই অপশক্তির কাছে জনগণের টাকা, রাষ্ট্রের সম্পদ নিরাপদ নয়। তারা আবার দেশের পতাকা খাঁমচে ধরতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন করা মানুষ বেঁচে থাকতে দেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মৃনাল কান্তি দাস, হুমায়ুন কবির, কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।