নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাস ডিসেম্বরের শুরু। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চূড়ান্তে এসে একাত্তরের এ মাসেই অর্জিত হয় বাঙালি জাতির কাঙ্খিত বিজয়। এ মাসের প্রথম দিন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক বিভিন্ন জেলায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করা শুরু করে।
আজকের দিনে সিলেটের শমসের নগরে আক্রমণ চালিয়ে টেংরাটিলা ও দোয়ারাবাজারকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তি বাহিনী। তাদের অপারেশনের মুখে পাকিস্তানিরা সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ব্যারাক গুটিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
আর স্পষ্ট হতে শুরু করে বাঙালির বিজয়। অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস আগে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, সেই যুদ্ধে বিজয় এখন সুনিশ্চিত।
যে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ইতিহাস সৃষ্টিকরা ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেই উদ্যানেই ১৬ ডিসেম্বর পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজি। বিশ্বদরবারে লাল-সবুজে ফুটে উঠে ‘বাংলাদেশ’ নাম।
আর এদিন থেকেই ইতিহাসের নতুন এক মোড়ে এসে দাঁড়ায় হাজার বছরের বাঙালি জাতিসত্তা। ডিসেম্বর তাই বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরব আর অহঙ্কারের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।