নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন করেছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি বিজিবি সদর দপ্তরে কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এর আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক অংশগ্রহণ করেন।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ফজর নামাজের পর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদসমূহে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি এবং বিজিবি’র উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও একাত্মতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে বিজিবি মহাপরিচালকসহ বিজিবি’র সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্যদের মাঝে উন্নতমানের ইফতারী ও খাবার পরিবেশন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সারাদেশে বিজিবি’র বিভিন্ন স্থাপনায় ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ বাঙালি জাতির জন্য একটা গর্বের দিন। আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিজিবি’র মতো ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর জন্যও দিনটি অত্যন্ত গর্বের। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই মহান বাণী আপামর জনসাধারণকে জাগ্রত করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা।