নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ি সিইসির মতো ব্যক্তিদের নামের তালিকাই সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাদের মতো করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এই কমিশন গঠন করার জন্য একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আইনও তৈরি করেছে। সবগুলো হচ্ছে জনগণকে বোকা বানানোর জন্য।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে কৃষক দলের এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সার্চ কমিটি যাদের দিয়ে করেছে সব তাদের লোক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে আবার নামগুলো পাঠাবে প্রেসিডেন্টের কাছে। যাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে দেখা যাবে যে তারা সেই নুরুল হুদা মতোই লোক হবে। ‘
বিদায়ি সিইসির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। কিচ্ছু নাই এটার মধ্যে। তার ট্রায়াল করতে হবে, তার বিচার করতে হবে। অনেকে তাকে বলে যে, বেহুদার মতো। নো। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দেওয়া এ জন্য তো তার বিচার হতে হবে। তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। ‘
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধি করছে বারবার। কারণ একটাই, শুধুমাত্র চুরির জন্য। এখানে একজন বলেছেন যে, চাল-ডাল-তেলের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। সরকারকে জবাব দিতে হবে কেন চালের দাম বাড়ল? যে চাল আমাদের সরকারের আমলে ছিল সর্বোচ্চ ১৭-১৮ টাকা সেটা এখন ৬০-৭০ টাকা। প্রতিক্ষেত্রে দুর্নীতি। এই যে দুর্নীতি এই দুর্নীতির সঙ্গে একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাষ্ট্রের সমস্ত অংশগুলোকে এরা জড়িয়ে ফেলেছে। কোনো ফাঁক নেই যেই খাতে দুর্নীতি নেই। ‘ মাথাপিছু মানুষের আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের পরিসংখ্যানও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনাসভায় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহসভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, এস এম ফয়সাল, আ ন ম খলিলুর রহমান, ওমর ফারুক শাফিন, সৈয়দ অলিউল্লাহ সিদ্দিকী, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আবদুল্লাহ আল বাকী, মাহবুদা হাবিবা, ইশতিয়াক আহমেদ নাসিরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।