নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়েয়ের গেজেট হাতে পেলেই ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, ওনারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই ওনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটাই ইসির দায়িত্ব।’
ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর রোববার তারা সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। মেয়াদপূর্তির এক বছর আগেই তারা সংসদ ছাড়লেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র জমা দিতে নিজেরাই এসেছিলেন। বাকি দুজনের একজন অসুস্থ, আরেকজন বিদেশে থাকার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, “পদত্যাগপত্র সশরীরে এসে জমা দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন তাদের আসন শূন্য হয়ে গেছে। বাকি আবেদনের সই যাচাই করা হবে এবং তারাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কিনা। সংসদ সচিবালয় তা খোঁজ নেবে। তবে হারুনুর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ইমেইলে, তার সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। এটা গ্রহণ করা হবে না। তাকে আবার ‘স্ব স্বাক্ষরযুক্ত’ আবেদন জমা দিতে হবে।