নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার জন্য গতকাল সোমবার (২৭ জুলাই) জারি করা নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) তিন হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে সোমবার নোটিশ দেয় বার কাউন্সিল। এতে বলা হয়েছে, ‘এনরোলমেন্ট এমসিকিউ পরীক্ষায় একবার উত্তীর্ণ হলে পরপর দুইবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে জারিকৃত গেজেটে (২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত) বিদ্যমান রুলস সংশোধন করে ‘ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে মর্মে’ উল্লেখ রয়েছে।
এই সংশোধনীটি করা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ফলে ওই তারিখের আগে যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন তারা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। তবে যদি সরকার ওই সংশোধনীটির প্রয়োগ ভূতাপেক্ষভাবে প্রয়োগ করার উল্লেখ করে কোনো সংশোধনী প্রদান করে কেবল সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বরের পূর্বে যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন।
নোটিশের ‘উক্ত তারিখের পূর্বে যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন তারা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না’-এই অংশটুকু গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর বার কাউন্সিল কর্তৃক জারি করা নোটিশের (স্বারক নম্বর-বাবাকা/প্রশাসন/২০৬০) স্ববিরোধী হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল জারি করা নোটিশে ওই অংশটুকু জুড়ে দেওয়ায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না।
এসব শিক্ষার্থী এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস করার পর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা নোটিশে বলা হয়েছিল, এসব শিক্ষার্থীর এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। একারণে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থী অংশ নেননি।
কিন্তু গতকাল বার কাউন্সিলের জারি করা নোটিশে ওইসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বাস রুদ্ধ করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের এই স্ববিরোধী নোটিশে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন।