রাসেল হাওলাদার,বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আলোচিত যুবলীগ নেতা বাদশা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
সিআইডি ইনস্পেক্টর সেলিম সর্দার সোমবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছে।
অভিযোগপত্র ভুক্তরা হলেন মহসিন সর্দার, জাকারিয়া, মো. আল-আমিন গাজী, রাকিব সরদার, মো. সাবু সরদার, মো. সাবু ফকির, মো. মতলেব সরদার, আল-আমিন আকন, মাহবুব সরদার, নাসরিন বেগম, সেয়ারা বেগম, আল আমিন গাজী, মাহতাব সরদার ও সিদ্দিকুর রহমান।
এদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নিহত বাদশা বুড়িরচর ইউনিয়নের সোহরাব মৃধার ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে শামীম ইমতিয়াজ বাদশাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামড়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বাদশার বাবা সোহরাব মৃধা পরদিন ৯ জানুয়ারি ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, মহসিন নামের এক যুবকের সঙ্গে বাদশার বাবা সোহরাব মৃধার কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় সোহরাব মৃধাকে মারধর করেন মহসিন ও তার সহযোগীরা। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় মহসিনের লোকজন মিলে বাদশাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় বাদশা দৌড়ে পাশের স্ট্যান্ডে যান এবং মোবাইল ফোনে তার বাবাকে সবকিছু জানান। এরপর তিনি মূর্ছা যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বদলি হওয়ার পর মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডির পরিদর্শক জুলফিকার প্রায় এক বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে পারেননি। পরে তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডির আরেক পরিদর্শক সেলিম সর্দারকে। তিনি তদন্ত শেষ করে সোমবার সকালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আলোকে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি বরগুনার পরিদর্শক সেলিম সর্দার বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার তথ্য উপাত্ত ও আলামতসহ পাঁচ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। শিগগির এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।