বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি শেষ, ৩১ ডিসেম্বর পরিদর্শন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী

 

এবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। বেশিরভাগ প্যাভিলিয়নের মূল অকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কোনও কোনও প্যাভিলিয়নে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জার কাজ। ৩১ ডিসেম্বর মেলার সার্বিক প্রস্তুতিও পরিদর্শন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি । ওইদিন বিকালে সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজন বিষয়ে সাংবাদিকদের জানাবেন তিনি ।

আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, ‘এবছর প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁসহ মোট স্টলের সংখ্যা ৪৪১টি। গতবছর সাধারণ স্টল ছিল ২৫০টি। এবার সাধারণ স্টলের সংখ্যা ৫০টি। এপর্যন্ত ২৩৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি ২৬টি প্যাভিলিয়নের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ছিল ৫৫টি। সেগুলো এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। বরাদ্দ দেওয়া হলে সেগুলোর নির্মাণ কাজ চলবে মেলা চলাকালীন সময়ের মধ্যেই।’

আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, এবারের মেলায় শুক্র ও শনিবার কোনও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য খোলা থাকবে। টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে পূর্ণ বয়স্ক ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৮টি প্যাভিলিয়ন ও ৬টি মিনি প্যাভেলিয়ন রিজার্ভ রাখা হয়েছে। মেলায় আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলার নির্ধারিত মাঠের ভেতরের সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ওয়াসা, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত রয়েছেন।

আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া মেলা চলবে পুরো জানুয়ারি মাস। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ চীন, ব্রিটেন, ভারত, পাকিস্তান,দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবারের মেলায় অংশ নেবে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একইসঙ্গে মেলার মাঠে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

ইপিবি সূত্র জানায়, এবছর বাণিজ্য মেলায় ২টি মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক ও ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ থাকবে। একটি মেডিক্যাল সেন্টার থাকবে। পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রীসহ থাকবে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণসামগ্রী ও ফার্নিচার, রেডিমেড গার্মেন্ট পণ্য, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক ও প্লাস্টিকপণ্যের স্টলও। এবছরের বাণিজ্য মেলা দর্শকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title