বাগমারা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ সারাদেশব্যাপী করোনাভাইরাস রোধে সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়াতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে । তিনি নিজের নিরাপত্তা ও বিচারের দাবি জানিয়ে বাগমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানায় নথিভূক্ত সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, যোগিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ইউনিয়নের একতারিয়া বাজারে যান। বাজারে লোকজনরে সমাগম দেখে তিনি করোনভাইরাসের ভয়াবহতা সর্ম্পকে অবহিত এবং এই বিষয়ে সরকারের জারি করা লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দেন। এসময় সেখানে থাকা মাহিরুল ইসলাম (৩২) নামের স্থানীয় একজন বখাটে যুবক চেয়ারম্যানের সঙ্গে তর্কে জড়ান। তাঁদের পক্ষে লকডাউন মানা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন। লকডাউন সরকারের আন্দোলন দমানোর একটি কৌশল বলেও মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে স্বানীয় আরও কয়েকজন যুবক যোগ দেন। তাঁরা চেয়ারম্যানকে সরকার ও প্রশাসনের দালাল বলে আখ্যা দিয়ে লাঠি ও রড় নিয়ে মারতে তেড়ে আসেন। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন।
পরে বখাটে মাহিরুল ইসলামসহ অন্যরা চেয়ারম্যানকে সুযোগ বুঝে হত্যা করা হবে হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। নিরুপায়ে চেয়ারম্যান রাতে থানায় এসে বখাটে মাহিরুল ইসলামসহ চার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেখানে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা মেরে ফেলতে পারে বলেও আশংকা করেন চেয়ারম্যান। চেয়াম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ওরা এলাকায় বখাটে ও মাদকাসক্ত হিসাবে পরিচিত। লোকজনের ভালোর জন্য পরামর্শ দিতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে বখাটে মাহিরুল ইসলামসহ অন্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁদের স্বজনেরাও কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের ভাষ্য, ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ চেয়ারম্যানের সাধারণ ডায়েরি নথিভূক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করার জন্য একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা যোগিপাড়া তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদক কে বলেন, জিডির কপি হাতে পেয়েছেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।