রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের রুদ্রমুখা গ্রামের মৃত ছবের আলীর পুত্র মোঃ মমতাজ হোসেন(৩৫) তার ক্রয়কৃত জমি অন্যজনে দখল করেছে বলে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, গত ২০০১ইং সালে ক্রয়সূত্রে হওয়া জমি যাহার মৌজাঃ রামপুর,আর,এস খতিয়ান নং-৪৬,দলিল নং-৬৩২৫, দাগ নম্বর-৭৭৩, রকম ধানী। উক্ত জমি মোঃ আঃ রশিদ, গ্রামঃ শংকরপুর, তানোর রাজশাহী এর নিকট হতে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছে। ক্রেতার আরও ওয়ারিশ আছে তাদের নিকট হতে বিবাদীগণ মোঃ সুলতান, আঃ সালাম, ও খোরশেদ পিতা মৃত তনজেব আলী তারাও জমি ক্রয় করেছে। বাদী এবং বিবাদীগণ উভয়ে বিনিময় সূত্রে জমিগুলো ভোগদখল করে আসছে।কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৫ইং সালে বিবাদীগণ অথাৎ সুলতান গং আমাকে আমার ক্রয়কৃত জমি হতে জোরপূর্বক ভাবে উচ্ছেদ করার পায়তারা শুরু করে এবং আমার ক্রয়কৃত জমি বিবাদী সুলতান গং পাবে বলে দাবী করে আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। ক্রয়কৃত জমির মালিক মোঃ মমতাজ একজন সহজ সরল মানুষ তিনি প্রাণের ভয়ে গ্রামের লোকজনের কাছে বিষয়টি নিয়ে শরণাপন্ন হলেও বিবাদীগণ তা মানে নাই। পরবর্তীতে বিবাদী মোঃ সুলতান, আঃ সালাম ও খোরশেদ তারা নিজেরা জমি পাবে বলে রাজশাহী জজকোর্টে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক বর্তমানে বিবাদী মোঃ মমতাজ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিবাদীর করা সেই মামলাতে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক বর্তমানে বাদী মোঃ মমতাজ হোসেন ডিগ্রি লাভ করে। আইনের আশ্রয়ে বিবাদীগণ যখন জমি পাচ্ছে না ঠিক তখনি বাদী মোঃ মমতাজ হোসেন কে প্রাণে মারার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করছে।এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জমির ক্রয়সূত্রে প্রকৃত মালিক মোঃ মমতাজ হোসেন। কিন্তু বিবাদীী সুলতান গং অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে বলে তারা জানান। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের উপর মহলের কাছে যেন অচিরেই বিষয়টি কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ফয়সাল করা যেন হয়।
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি