অনলাইন ডেস্ক: করোনায় অনেক উন্নয়নকাজ থমকে গেলেও অগ্রগতি হয়েছে মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজে। এরই মধ্যে ৭১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে প্রকল্পটির। বাকি কাজও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এ টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম মহানগরের পাশাপাশি নদীর অপর তীরে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় গড়ে তোলা যাবে আরও একটি নতুন শহর। ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে প্রকল্পটির।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, আলোচিত মেগা প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৭১ শতাংশ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হয়ে নদীর ওপারে আনোয়ারা পর্যন্ত একটি টিউব পরিপূর্ণভাবে স্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় টিউব স্থাপনের কাজও প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রথম টিউবের ভেতর ল্যান্ড স্লাবের কাজ চলছে, যার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল টানেল ছাড়াও পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রকল্প।
দুটি টিউবের এই টানেল নির্মাণকাজ শেষ হলে ৪ লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। একটি টিউবের সড়ক দিয়ে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা অভিমুখী এবং অপর টিউব দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা অভিমুখী যানবাহন চলাচল করবে। প্রতিটি টিউব চওড়া ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব প্রায় ১২ মিটার। টানেলের প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৪০০ মিটার।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।