ফরিদপুর :: সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাব দেখা দেওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রবেশের তিনটি পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুর রহমান ও ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আলামিন মিয়ার নির্দেশক্রমে মানবিক চেতনার কিছু যুবক একাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলায় প্রবেশের প্রধান পথ ভাঙ্গা পৌরসভার চত্বর থেকে নওপাড়া, ভাঙ্গা শহরে প্রবেশ করার পশ্চিম হাসাম দিয়া, কুঠিবাড়ির চরকান্দা, বাইশাখালির ডাকবাংলা সড়ক ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে মাল সম্প্রদায় জেলে পাড়ার সড়ক পথ গুলো হয়ে ভাঙ্গা উপজেলায় প্রবেশ করার তিনটি দ্বারমুখে বাশ দিয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমির) উপস্থিতিতে লকডাউন করা হয়। ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনকে প্রফেসর হেদায়েত হোসেন, মনির হোসেন,শিক্ষক আমানত মোল্লা,মাহিরুজ্জামান তুহিন, গৌরাঙ্গ, কুতুবউদ্দিন সরন, ইমন, আরমান মোল্লা, বাহাউদ্দিন জিতু, ইমতিয়াজ জামান তুষার, ও আশিকুজামান আশীক সমন্বয় করেন এবং কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
লকডাউন এর ফলে আজ থেকে কোন প্রকার ভ্যানগাড়ি, অটো ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইক,সহ কোন ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়াও কোন পৌরবাসী বাজারেও আসতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ৭ শতাধীক প্রবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। তারা সবাই হোম কোয়ারেইনটেইনে আছেন। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙ্গায় কোভিড-১৯ সংক্রামণের কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় নি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কোভিড-১৯ সংক্রামণ রোধে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান আল হাবিব উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অসহায়, দরিদ্র মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছেন।
করোনা ভাইরাসের জন্য চলতি মাসে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের থেকে পাওয়া নগদ ১ লাখ টাঁকা পাঁচ হাজার টাঁকা ও ৪৩টন চাউল ভাঙ্গা পৌরসভাসহ ইউনিয়ন গুলোতে (ইউনিয়ন প্রতি ৩ টন) সুষম বণ্টন করে দেওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমির) উপস্থিতিতে বণ্টন করেছেন বলে ভাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রামণ রোধে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক এর নির্দেশক্রমে আগামীকাল সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অত্যাকবশীয় নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। অন্য সকল দোকান যথারীতি বন্ধ থাকিবে। তবে চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। গণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এক জেলার যানবাহন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অন্য জেলায় যাবে না এবং অন্য জেলার যানবাহনও প্রবেশ করতে পারবে না।