ফরিদপুর :: ইয়াবা পাচারের ব্যবসার সূত্রতায় কথিত স্বামী-স্ত্রী আটক করার পর তাদের পেট থেকে এক হাজার পঞ্চাশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রোববার ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাক্ষ্মণপাড়ায়। এসময় একসহযোগীকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত স্বামী-স্ত্রী হলেন পিরোজপুরের আবু আল শেখের ছেলে মিরাজ, ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের গোয়ারীপাড়ার দেলোয়ারের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা ও তাদের সহযোগী ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ পাড়ার গ্রামের মিঠুন মুন্সী।
পুলিশ জানায়, মাদকের বড় একটি চালান নিয়ে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী কথিত দম্পতিরা টেকনাফ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাওয়াঘাটে পৌছাঁতে শনিবার রাত হয়ে যায়। কোন গাড়ী না পেয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত মিঠুন মুন্সীর সহায়তায় তার বাড়ীতে রাতে অবস্থান নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণপাড়ার মিঠুন মুন্সীর বাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের কাছে তারা স্বামী স্ত্রীর বলে দাবী করলেও ঘটনাটি সন্দেহ করে পুলিশ। এসময় তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে কথিত স্বামী স্ত্রীর কথা স্বীকার করে তারা। কিন্তু তল্লাশী চালিয়ে যখন তাদের কাছে কিছু না পাওয়ায় একটি পর্যায়ে নিজেদের পেটে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা রয়েছে বলে জাকিয়া ও মিরাজ পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে ডাক্তারী বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মিরাজের পেট থেকে ১৭টি ও জাকিয়ার পেট থেকে ৪টি পটলা থেকে এক হাজার পঞ্চাশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, সারাদেশে করোনার ভাইরাসের কারনে চলছে লক ডাউন। কিন্তু সেখানে কথিত স্বামী-স্ত্রী সেজে আন্তঃজেলা মাদক পাচার চক্রের সদস্যরা রয়েছে সক্রিয় একটি বিস্ময়কর ব্যাপার! কিন্তু পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভাঙ্গা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।