ফরিদপুর :: করোনা ভাইরাসের প্রভাবের সুযোগ নিয়ে অধিক লাভের আশায় বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে প্রশাসন কঠোর হস্তে দমনের লক্ষ্যে আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ সংক্রান্ত একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের ক্রান্ত লগ্নে ব্যবসা করার সময় নয়, অপরকে সেবা করার সময়। দুর্যোগকালীন সময়ে অপরকে সেবার চেয়ে মহৎ কাজ নেই। সেই লক্ষে মানুষের সেবা করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, জেলায় ব্যাপক সংখ্যক লোক প্রবাস থেকে এসেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত অনুসন্ধান শেষে দেখা গেছে যে, ৪৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। ইতিমধ্যে সদর হাসপাতালটিকে করোনা ট্রিটমেন্টের জন্য নির্ধারণ করেছি। পাশপাশি আইসিইউ রেডি হয়েছে।
আমাদের যদি আইসোলেটেড ডিজিটেশনাল হোম কোয়ারেন্টের প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে সালথা উপজেলায় নবনির্মিত হেলথ কমপ্লেক্স রয়েছে, সেটিকে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি। সার্বিকভাবে করোনা প্রতিরোধের বিষয়ে যা যা সম্ভব তার প্রায় সবগুলোই আমরা নিয়েছি বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ চলমান রয়েছে। সবাই মিলে সকল কিছু স্বাভাবিক রাখতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রকিবুর রহমান খান, ও ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলামিন মিয়া কাউলীবেড়া ইউনিয়নের কাউলীবেড়া বাজারের চাউল আড়ত, মুদি দোকান এবং পিয়াজের বাজারে আজ সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বিধি অনুয়ায়ী ভোক্তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে পণ্যে দ্রব্যের নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত মুল্য নেওয়ার অপরাধে ৬ ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাঁকা জরিমানা করেন।