প্রেমের ফাঁদে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ৩ নারীসহ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
আবু রায়হানঃ প্রেমের ফাঁদ পেতে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা সদরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে ৩ নারীসহ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী রুপালি খাতুন কনা, তিলাকুদুল নামাপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম, শালবন গ্রামের সুরাইয়া খাতুন, কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামের শাহারুল ইসলাম রাজু ও কালামের স্ত্রী আজেদা বেগম।
নওগাঁ জেলার সাপাহার এলাকার আবুল কালাম নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে গত চার থেকে পাঁচ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে প্রতারক রুপালি বেগম কণার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক পর্যায়ে তা দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত পৌঁছালে রুপালি বেগম আবুল কালামের কাছ থেকে জমি ক্রয় করার কথা বলে সোনালী ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ৩৬ লাখ টাকা তার স্বামী সিঙ্গাপুর থেকে টাকা পাঠালে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধার নেন।
গত ৩১ অক্টোবর রুপালি বেগম ও তার সহযোগীরা কৌশলে আবুল কালাম আজাদকে
জয়পুরহাটে ডেকে নিয়ে জিম্মি করে রেখে ১০ লাখ টাকা দাবি করে বেধরক মারপিট করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরো ১০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিলে পরিবারের লোকজন পিবিআই নওগাঁতে অভিযোগ করলে প্রযুক্তির সহায়তায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা থেকে আবুল কালামকে উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পিবিআই।
নওগাঁ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের ৩রা নভেম্বর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে প্রতারক চক্রের মূলহোতা রুপালি বেগম কণার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করে এ ঘটনার সাথে আরো জড়িত ও বিকাশের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হবে।