নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি এখন একজন ব্যান্ড। এই ব্যান্ড আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোটায় পৌঁছে গেছে, যা করোনাকালে দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাঁতীলীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনুষ্ঠানে। তাঁত শিল্পের বিকাশে কাজ করবে তাঁতীলীগ এমন প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতীলীগের দোকান খুলতে না পারে তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তাঁতীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে। আসন্ন বাজেট নিয়ে বিএনপি ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভাবনার মাঝেও সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোনো একটি বাক্যও খুঁজে পেলাম না। তিনি বলেন, বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক, তারা সংকীর্ণতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি।
গত বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারকে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। আমদানি রফতানি বাণিজ্য তথা উৎপাদন ব্যবস্থাকেও সচল ও গতিশীল রাখা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের চাকা সচল রাখার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সাথে চালিয়েছে। এ সময়ে দুই হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার সংক্রমণরোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, টিকা সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মুখে কোনো প্রশংসা কিংবা বাস্তব অর্জনের কথা বলেন না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার আগেই তাদের আত্মিক সংকোচন ঘটে গেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি সঙ্কট মোকাবিলা ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় হবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
সূত্র : বাসস