নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২০ জেলার ৬৩ উপজেলার ৩২৩টি ইউপিতে আগামী ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিন দেশের ৯টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে। আগামী ২ মার্চের পরে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এসব তথ্য জানান। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরুর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন।
বুধবার কমিশন সভায় ওই তারিখ পরিবর্তন করে ১১ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের এ সভায় তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় প্রাধিকার শীর্ষক চার শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা কমিশন সভায় তোলা হয়। ভোটার তালিকার সিডি তৈরির সক্ষমতা বিবেচনা করে ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। বিদ্যমান আইনে ভোট হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪১টি ও ৯টি পৌরসভার সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস বিবেচনায় নিয়ে এসব ইউপি বাছাই করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত রোজার আগে একটি ধাপে ইউপি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশন রমজান মাসে নির্বাচন না করার চিন্তা করছে। বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে কত ধাপে ভোট হবে তা কমিশন এখন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান তিনি। ইসি সচিব বলেন, কমিশনের লক্ষ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোট। এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে চার হাজার ৩২১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ২৯ ধারায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকবে পরিষদের। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে- সংশ্নিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে।
যে ৯ পৌরসভায় ১১ এপ্রিল ভোট: ষষ্ঠ ধাপে ৯টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এগুলো হলো- ঝালকাঠি সদর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কপবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ। এ ছাড়া নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার চারটি ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার দুটি স্থগিত কেন্দ্রে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।