পরিকীয়ার অভিযোগ এনে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ঘুমন্ত স্বামী রাসেল মিয়ার (৩২) লিঙ্গ কর্তন করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই স্ত্রী খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে। এসময় স্ত্রীর ধারালো দা-এর কোপে স্বামী রাসেলের মুখমন্ডলসহ দুই পায়ের উরু গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্ত্রী খাদিজাকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে ঘটনাটি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম।
এর আগে ঐদিন ভোর রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ খালিশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর দুপুরে রাসেলের স্ত্রী অভিযুক্ত খাদিজাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রাসেল ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য শাহজামান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর আগে পাশ্ববর্তী মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকি গ্রামের কৃষক নুর ইসলামের মেয়ে খাদিজার (২৩) সাথে রাসেলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত কয়েক মাস আগে রাসেল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ তুলেন তার স্ত্রী খাদিজা। এরপর থেকে এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে উভয় পরিবার বসে আপোষ-মিমাংসাও করে দেন। কিন্তু এতে ক্ষান্ত হয়নি স্ত্রী খাদিজা। সে ওই রাতেই ভোরের দিকে ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী রাসেলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় রাসেলের আত্মচিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী খাদিজাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছ।
মোঃ ইউনুস আলী,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি