প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,দেশের নাগরিক, কীভাবে তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে তা আমি জানি না। এটা তারা গ্রহণ করে ঠিক করেনি।দেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশন কীভাবে গ্রহণ করল? আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক মানে বিদেশি হতে হবে।
শনিবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাদের উচিত ওই সব পর্যবেক্ষক, যারা বাংলাদেশের নাগরিক বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন তাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ না করে এবং তারা ভোট কেন্দ্রে যাতে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। ভোট দিতে আসতে পারবে, কিন্তু পর্যবেক্ষক হিসাবে নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের মধ্যে অনেক বৈরী লোক আছে। কারও পিতা হয়ত ৭৫-এ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা কেউ ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের উত্তরসূরি এমন অনেক আছে। তারা রাষ্ট্রদূতদের ওখানে চাকরি করে। তাদের নামও তারা ওখানে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট পর্যবেক্ষণে ১০টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস থেকে নিয়োগ করা ৭৪ জনকে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন। এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের ঘোর আপত্তি।