নিজস্ব প্রতিবেদক: পণ্য সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হিমাগার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)।
চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে সারাদেশে চলছে লোডশেডিং। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যার প্রভাব পড়েছে বেশি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে হিমাগারে সংরক্ষিত পচনশীল দ্রব্যসামগ্রী নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ছোট-বড় মিলিয়ে চার শতাধিক হিমাগার রয়েছে সারাদেশে। এসব হিমাগারে সাধারণত খাবার আলু, বীজ আলু, রপ্তানিযোগ্য আলু, শিল্পে ব্যবহৃত আলু, ফলমূল, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণ করা হয়; যা সারা বছর বাজার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে হিমাগারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংরক্ষণ করা পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে, এমনকি পচনের ঝুঁকিতে পড়েছে। যা কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিমায়িত দ্রব্যসামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হলে এসব পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।