সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে যখন অস্থিরতা বিরাজ করছে তখনই বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারী ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে যার যার বাড়িতে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ জারি হয়। আর এই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকার ব্যাপক ভাবে প্রস্তুতি নেয়। পাশাপাশি সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। তারপর থেকেই সারাদেশের সড়কপথ, নৌপথ, রেলপথ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই ফাঁকা হতে থাকে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ সকল জেলা উপজেলা। সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সড়ক ও মহাসড়কে এবং পাড়া মহল্লায় মনগড়া চলাফেরা করছে সাধারন মানুষ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) সারাদিন সরেজমিনে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, পিক-আপে, প্রাইভেট কার, হাইয়েস কার ও এম্বুলেন্সে করে ঘরমুখী মানুষকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। কিছু দুষ্টু লোক এই সময়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য প্রাইভেট কার ও হাইয়েস কারের লোক পারাপার করাচ্ছে। আর অনেক লোকজনকেই মাক্স ব্যবহার ছাড়াই চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও পাড়া মহল্লায় লোকদেরকে জনসমাগম করে চলতে দেখা গেছে। বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকায় কিছু যুবক খেলাধুলার জন্য জড়ো হলে তাদেরকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সন্ধ্যার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় ব্যাপক সমাগম হওয়ায় সহকারী উপ-পরিদর্শক মোমেন আলম , হেমায়েত উদ্দিন ও হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্স লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সকাল থেকে দিনব্যাপী পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদেরকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামরুল ফারুক জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অনেকগুলো টিম মাঠে কাজ করছে। সাধারণ জনগনের আন্তরিকতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। দয়া করে আপনারা বাসায় থাকুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, অন্যকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করুন।