নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিল পূজা মন্ডপ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক এবং পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সাথে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তারা ঘঁটনাস্থলে যান এবং সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিল পূজা মন্ডপে দীর্ঘ ৮১ বছর যাবত শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে মিলটির মালিক দাবিদার নীট কনসার্ন গ্রুপ পূজা মন্ডপটি ভেঙ্গে দিয়ে আসন্ন দূর্গা পূজা আয়োজনে বাঁধার সৃষ্টি করছে। এতে করে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাদের ঐতিহ্য মেনে নির্দিষ্ট স্থানেই পূজা আয়োজনের দাবি জানায়।
স্থানীয়দের দাবির মুখে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ একাধিকবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক করেছেন।
বুধবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সহ সভাপতি ডিএন চ্যাটার্জি, যুগ্ম সম্পাদক এড. অশোক রঞ্জন মন্ডল ও কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রজত কুমার সুর রাজু নারায়ণগঞ্জে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশিল দাশ, সহ সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদিপ দাস, মহানগরের সভাপতি লিটন পালসহ নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলেন এবং আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদেও সহ সভাপতি হিমাদ্রি সাহা হিমু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, পূজা পরিষদ নেতা তপন গোপ সাধু, তপন দে, দুলাল দাস, রিপন রুদ্রসহ জেলা ও মহানগর পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।