নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯-এর লক্ষন পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার চকবলরামপুর গ্রামে। তবে করোনা সানাক্ত ব্যক্তির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। নওগাঁ’র সিভিলসার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল জানিয়েছেন ঐ গ্রামের রাশেদুল শেখ নামের এক ব্যক্তি গত ৯ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। যেহেতু নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন সেহেতু তাকে ১৪ দিনের হোমকোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করে নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়।
গত রবিবার রাতে নমুনা পরীক্ষার যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে মাজেদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির করোনা সনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অথচ নওগাঁ সিভিলসাজর্ন অফিস থেকে মাজেদুল ইসলাম নামের কারও নমুৃনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নি। কাজেই ধারনা করা হচ্ছে প্রেরিত রাশেদুল ইসলামের ফলাফল ভুলবশতঃ মাজেদুল ইসলামের নামে এসেছে। কাজেই সন্দেহ দুর করতে উক্ত রাশেদুল শেখ-এর নমুনা পুনরায় সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং তার পরিবারসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
এদিকে নওগাঁ শহরের চকদেবপাড়া এলাকায় করোনা উপস্বর্গ নিয়ে আলোচিত মৃত মাহবুব আলীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল রবিবার রাতে পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষিত ফলাফলের বরাত দিয়ে নওগাঁ’র সিভিলসার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল নিশ্চিত করেছেন যে উক্ত মাহবুব অলীর শরীরে কোভিড-১৯ এর নমুনা পাওয়া যায় নি। ফলে নওগাঁ জেলায় এখন পর্যন্ত কোন করোনা আইরাস আক্রান্ত রোগির সন্ধান পাওয়া যায় নি।
সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোলরুম সুত্রে জানা গেছে এ রবিবার পর্যন্ত নওগাঁ জেলা থেকে ২৭৩ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত ১৯৬ ব্যক্তির পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের ক্রাও শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন পাওয়া যায় নি। সকলেই সুস্থ্য রয়েছেন।
অপরদিকে নওগাঁ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৬৮ জনকে হোম হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৬ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ জন, আত্রাই উপজেলায় ৫ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৪ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২৫ জন, পতœীতলা উপজেলায় ১৮ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ২৯ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৫ জন, সাপাহার উপজেলায় ১৩৪ জন এবং পোরশা উপজেলায় ১১ জন। গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে এই ২৬৮ জনকে হোমে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। অন্যাদিকে হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠনিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৫ জন। সব মিলিয়ে শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট হোমে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৪শ ৮৯ জন। এদের মধ্যে
এই ২৪ ঘন্টায় হোমে কোয়াপরেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৯৭ জনকে। ১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ানেটাইন থেকে। এ পর্যন্ত মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ হাজার ২শ ১৫ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২শ ৭০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৪ জন।