চাঁদপুর প্রতিনিধি : বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলা গুলোতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে কৃষকরা। ধান পাকার সাথে সাথে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন জেলার কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, ইয়াসিন পাটোয়ারী সহ কয়েকজন জানান, এ বছর ধানের আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটতে হবে।
কিন্তু করোনার কারনে ধান কাটার শ্রমিকই পাওয়া যাচ্ছেনা। আগে বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিক এসে ধান কাটতো। কিন্তু করোনার মহামারীতে কারনে সবাই বাড়ী চলে গেছে, তাই দুশ্চিন্তায় আছি ধান কাটা নিয়ে। মতলব (দঃ) উপজেলার কৃষক সদর উদ্দিন জানান, এবার অনেক ভালো বোরো ধানের ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা আতংকের কারনে এ বছর ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ার অনেকদূর চিন্তায় আছি, এছাড়াও সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে তাই ধান কাটা নিয়ে বিপাকে আছি।
চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে সরকার খাদ্য গুদামে ধান কেনা শুরু করবে।
কিন্তু আমরা বর্গা ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারী খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারি না।করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ধান ক্রয় না করলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে জানান একাধিক কৃষক।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলার কৃষকরা সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুর রশিদ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, চাঁদপুর জেলায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার চাঁদপুর জেলা বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬২হাজার হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬০হাজার৮৩০ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান হাজিগঞ্জ শাহরাস্তি ধান কাটা আরম্ভ হয়েছে। আর ১ সপ্তাহের মধ্যে পুরো জেলায় ধানকাটা আরম্ভ হবে।