নিজস্ব প্রতিবেদক: সিনোফার্মের তৈরি টিকার পাঁচ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। সকালে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে করে টিকার চালান ঢাকায় আসার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ অনুষ্ঠানে তা হস্তান্তর করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, এক্ষেত্রে কাউকে দোষারোপের কারণ নেই, কেননা এটা এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়।
তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় ‘নিয়মকানুন মেনেছে’ বাংলাদেশ।
গত ২৯ এপ্রিল চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ। এরপর ৭ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এ টিকা জরুরি ব্যবহারে তালিকাভুক্ত করে।
পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও সিনোফার্মের টিকা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। তবে সেই কেনা টিকা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে সোমবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত জিমিং।
টিকার অনুমোদন দিতে ‘দেরি হওয়ার’ কথা তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, চীন সরকার টিকা উপহার দেওয়ার কথা বলেছিল ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু অনুমোদন দিতে বাংলাদেশ প্রায় তিন মাস সময় নিয়েছে।
সেই বক্তব্যে প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুরুতে চীনা টিকা নিয়ে কিছুটা রক্ষণশীলতা ছিল, কারণ এটা ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত ছিল না। আমাদের কিছু নিয়মকানুন আছে, যা নতুন নয়। জনগণের ভালো ও কল্যাণের কথা বিবেচনা করে বহু আগে প্রণীত।
তিনি বলেন, নিয়মকানুন হচ্ছে- যদি কোনো ওষুধ বা টিকা ডাব্লিউএইচওর অনুমোদন না পায়, তাহলে আমরা সেটা জনগণের ওপর প্রয়োগে ইতস্তত থাকি। এ কারণে আমরা চীনের টিকা অনুমোদনে বিলম্ব করেছি।