সৌদি আরব প্রতিনিধি- সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীর বাওয়াদী এলাকায় বোরকার কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত আলমগীরের অবস্থান সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডাক্তারেরা।
তাত্ক্ষণিক খবর পেয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম প্রথম সচিব কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ কনস্যুলেটের একজন আইন সহকারী হাসিবকে কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে পাঠান এবং আলমগীর এর সমস্ত খোঁজ খবর নেন।
হাসিব জানান, আলমগীরকে আমি দেখতে গেছি এবং ডাক্তার দের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওনার এখনো হুশ ফেরেনি এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
হাসিব আরোও জানান, হাসপাতালে গিয়ে আলমগীর এর কোন ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি, তবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা আলমগীর কে সব ধরনের সহযোগিতা যাবেন বলেও জানান তিনি।
জানাযায়, গত ১৭-সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে জেদ্দা নগরীর বাওয়াদী নামক এলাকায় বোরকা কারখানায় ঘুমন্ত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হয়, এতে আলমগীর গুরুতর আহত হন। আলমগীর বর্তমানে জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
অগ্নিদগ্ধ আলমগীর প্রায় ৫-দিন যাবৎ বার্ন ইউনিটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকলেও এখনো জ্ঞান ফিরে আসেনি বলে জানান খলিল চৌধরী।
লোহাগাড়া প্রবাসী সমিতি-সৌদি আরবের উপদেষ্টা ও জেদ্দা প্রবাসী মোসলেম উদ্দিন মোসলেম জানান, দেশ থেকে খবর পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ৫-দিন খোঁজ খবর নেয়ার পর গত ২১-সেপ্টেম্বর সন্ধায় খবর পায় অগ্নিদগ্ধ মোহাম্মদ আলমগীর জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ হাসপাতালে আছেন, তাকে দেখতে গিয়ে তিনি জানাতে পারেন কে বা কাহারা আলমগীরকে হাসপাতালরে রেখে চলে যায় বর্তমানে অভিভাবক-হীন অবস্থায় জরুরী বিভাগের বার্ন ইউনিটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত মোহাম্মদ আলমগীর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাধীন পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারিহাটের উত্তর পাশ্বে- নয়া পাড়া নিবাসী আলী আহমদের পুত্র।
দেশ থেকে প্রতিবেশ আবু সাঈদ চৌধুরী টিটু প্রতিবেদককে টেলিফোনে জানান, অভাবের সংসার, বাড়ীতে মা-বৃদ্ধা বাবা, পরিবার ও নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত দু’বছর আগে জীবিকার তাগিতে সৌদি আরবের জেদ্দায় পাড়িদেন মোহাম্মদ আলমগীর।
হঠাৎ বিদেশ থেকে এমন দুসংবাদের খবর পেয়ে অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত আলমগীরের পরিবার অসহায় ও পুরো এলাকাবাসী চিন্তিত ।